সম্প্রচার ও ডিজিটালে এবিপি নেটওয়ার্ক এবার নতুন চেহারায়

নয়ডা, ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২০: এবিপি নেটওয়ার্ক তার চলতি রূপান্তরের অঙ্গ হিসাবে আজ সবকটা খবরের চ্যানেলের — এবিপি নিউজ, এবিপি আনন্দ, এবিপি মাঝা, এবিপি গঙ্গা, এবিপি অস্মিতা, এবিপি সাঞ্ঝা — নতুন লোগো প্রকাশ করল। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবিপি লাইভের নতুন লোগোও একসঙ্গেই প্রকাশ করা হল। এই নতুন লোগো ডিজাইন করা হয়েছে চ্যানেলগুলোর নির্ভীকতা, সজীবতা এবং চিন্তাভাবনার দিক থেকে এবিপি নেটওয়ার্ক যে ইন্ডাস্ট্রির নেতৃস্থানীয় — তা আরো ভালভাবে প্রকাশ করতে। দেশ এবং দেশের মানুষের সাথে এই ব্র্যান্ডের সংযোগ বোঝানোও এই ডিজাইনের উদ্দেশ্য।
ভারতের অবিরাম বৃদ্ধির কাহিনীতে যে সম্ভাবনা রয়েছে তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার উদ্দেশ্যেই এই বদল। মহত্ত্বের যাত্রায় ভারত এই মুহূর্তে এক অনন্য স্ববিরোধী অবস্থায় পৌঁছেছে। নতুন ভারতের আশার লক্ষণ হল অসীম আকাঙ্ক্ষা আর উচ্চাভিলাষ। একই সঙ্গে সামাজিক রীতিনীতি, মতামত আর মূল্যবোধ ভারতীয়দের বেঁধে রেখেছে। এক দিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় যুবশক্তির উপস্থিতির কারণে ভারতের ক্ষমতা অসীম; সাশ্রয়কর আবিষ্কারের পথপ্রদর্শক হিসাবেও ভারতের সীমাহীন সম্ভাবনা; সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক পারদর্শিতা থাকায় দক্ষতাও অপরিসীম। কিন্তু অন্য দিকে সুযোগের অভাব ও বৈষম্য হল ভারতের সীমাবদ্ধতা।
সত্বর মহান কীর্তিতে মোড়া এক ভবিষ্যতে পৌঁছাতে হলে ভারতের দরকার একজন চ্যাম্পিয়ন, যে এইসব পূর্বনির্ধারিত সীমাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করবে, তুলে ধরবে এবং ভেঙে ফেলবে। এর একমাত্র উপায় একটা মুক্ত এবং ওয়াকিবহাল সমাজ গড়ে তোলা। কারণ একমাত্র তেমন একটা সমাজই এক সীমাবদ্ধতাহীন ভারত গড়তে পারে।
সুতরাং চ্যানেলগুলোর নতুন লোগো এই নেটওয়ার্কের বিরামহীনভাবে ‘সীমা অতিক্রম করে’ গিয়ে সত্যের সন্ধান করার প্রমাণ। এই নেটওয়ার্কের ‘এক মুক্ত এবং ওয়াকিবহাল সমাজ’ গড়ে তোলার যে সামগ্রিক দর্শন, এই লোগো তারও প্রতীক। প্রত্যেক চ্যানেলের আলাদা আলাদা প্রকাশভঙ্গি আর নেটওয়ার্কের সাধারণ দর্শনসমেত এই নতুন চেহারার উদ্দেশ্য শুধু যে এবিপি ব্র্যান্ডের স্পষ্টতা বাড়ানো তা-ই নয়, এটা দীর্ঘমেয়াদি স্ট্র্যাটেজি এবং এই ব্র্যান্ডকে অন্যান্য ব্র্যান্ডের থেকে আলাদা করার প্রধান উপায়ও বটে।
লোগো, মোগো (মিউজিকাল লোগো) আর বাগ প্লেসমেন্ট — সব মিলিয়ে এই নতুন চেহারা নিশ্চিতভাবে দর্শকদের ইন্দ্রিয়ানুভূতির আমূল পরিবর্তন ঘটাবে।
নতুন লোগোর ঘোষণা করতে গিয়ে শ্রী অবিনাশ পান্ডে, সিইও, এবিপি নেটওয়ার্ক বললেন, “এই বদলের উদ্যোগ নিয়ে আমরা খুব উত্তেজিত। এবিপি নেটওয়ার্কের খবরের চ্যানেল আর ডিজিটাল নেটওয়ার্কের নতুন লোগোগুলো এই নেটওয়ার্কের আবেগ এবং উদ্দেশ্য আরো ভাল করে প্রকাশ করে। এই নতুন চেহারা আমাদের নির্ভীক খবর সংগ্রহ এবং মানুষকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার, কল্পনা উসকে দেওয়ার, মনকে উদ্ভাসিত করার অপরিসীম ক্ষমতার সরাসরি প্রকাশ। এই লোগোগুলো আমাদের সীমা অতিক্রম করে বিরামহীনভাবে সত্যের খোঁজ করার প্রমাণ। নতুন করে তৈরি লোগোর তীরটা তুলনামূলকভাবে স্থির কাঠামো ছেড়ে বেরিয়ে যায়, যাতে দ্রুত বদলাতে থাকা সংবাদমাধ্যমের জগতের সঙ্গে বেশি মানানসই হওয়া যায়।”
নতুন লোগোসমেত এই সম্পূর্ণ রিব্র্যান্ডিং করেছে স্যাফ্রন ব্র্যান্ড কনসালটেন্টস — স্পেনের মাদ্রিদে কেন্দ্রীত একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক গ্লোবাল ব্র্যান্ড কনসালটেন্সি। স্যাফ্রন ব্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজি তৈরি করার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ। তারা দৃঢ় ব্র্যান্ড সংস্কৃতি তৈরি করার মত অভিজ্ঞতার পরিকল্পনা করা এবং উদ্ভাবনের উপরে বিশেষ জোর দেয়। স্যাফ্রন পেশাগত পরিষেবা, ব্যাঙ্কিং, খুচরো ব্যবসা, ফ্যাশন, লাক্সারি, টেলিকমিউনিকেশন, শিক্ষা, বিক্রয়স্থল এবং অলাভজনক সংস্থার মত নানা ক্ষেত্রের আন্তর্জাতিক কোম্পানি ও সংস্থার হয়ে কাজ করে। তাদের কয়েকটা প্রধান কাজের মধ্যে আছে ফেসবুক, ইউটিউব, ব্যাঙ্কিন্টার, ভিউয়িলিং, ভোলোটিয়া, সুইস রে, লন্ডন শহর, ফ্লাইং টাইগার কোপেনহেগেন, গালফ এয়ার, সিমেন্স, আকজো নোবেল আর ফুজিৎসুর ব্র্যান্ড পরিচিতি ডিজাইন করা বা ব্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজি ঠিক করা।