সাংবাদিক সম্মেলনে এসএসসি যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চ

এসএসসি যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের সভাপতি শেখ সিরাজুউদ্দিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ২০১৬ সালের নোটিফিকেশন অনুযায়ী শরীর শিক্ষা, কর্মশিক্ষা বিষয়ের স্কুল সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় তারা অপেক্ষমান তালিকার অন্তর্ভুক্ত প্রার্থী। মাঝে কেটে গিয়েছে তিনটি বছর, চাকরির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়ার জন্য তারা গত ২৮ শে ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ শে মার্চ ২০১৯ কলকাতায় যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের তত্ত্বাবধানে নবম-দ্বাদশ স্তরের সাথে অনশন করেন। অনশনের ২৮ দিনে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী এসে তাদের ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি দেন। সেই অনুযায়ী তারা অনশন তুলে নেন।
সিরাজুউদ্দিন বলেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নবম- দ্বাদশ স্তরের অনশনকারীদের ৯০শতাংশ প্রার্থীর চাকরি সুনিশ্চিত হয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র শরীর শিক্ষা এবং কর্ম শিক্ষা বিষয়ে প্রার্থীদের চাকরি সুনিশ্চিত হয়নি। খোঁজ নিয়ে তারা দেখেছেন আদালতের স্থগিতাদেশ এর জন্য ওই কাজটি সম্পূর্ণ করা যাচ্ছে না।
কিন্তু স্থগিতাদেশ উঠে গেলেও তাদের চাকরি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। এ বিষয়ে তারা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ৩২ বার উপস্থিত হন এবং গত ২ জানুয়ারি তারা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তারপরেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় ৪ ফেব্রুয়ারি আরও একবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয়। দুটি সাক্ষাতের সময় তারা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পান।
তাদের দাবি, তারা যখন বিকাশ ভবনে গিয়ে তাদের চাকরি সম্পর্কে জানতে চান তখন সেখান থেকে বলা হয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ না থাকায় কাজ এগোয়নি।
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের আবেদন তিনি যাতে অতি সত্বর এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে শারীর শিক্ষা ও কর্ম শিক্ষার বিষয়টির ওপর বিশেষ নজর দিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। তাদের দৃঢ় বিশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি এই বিষয়ের ওপর হস্তক্ষেপ করবেন।
তবে, আগামী এক সপ্তাহের ভেতর যদি তাদের চাকরি বিষয় কোনরূপ কাজ না হলে বা তাদের আবেদনে সাড়া না পেলে তারা আবার অনশনের পথে যাবেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মীনাক্ষী গাঙ্গুলী, শর্মিলা মন্ডল, রাজু দাস, রুমকি প্রামানিক, সোফিয়া খাতুন প্রমূখ।