৬টি রাজ্য সহজে ব্যবসার নির্ধারিত সংস্কার করায়, মোট ১৯,৪৫৯ কোটি টাকা অতিরিক্ত ঋণ নেওয়ার অনুমোদন পেল

কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের ব্যয় সংক্রান্ত দপ্তরের সহজে ব্যবসা বা “ইজি অফ ডুয়িং বিজনেস”এর প্রয়োজনীয় সংস্কার সফলভাবে সম্পন্ন করলো রাজস্থান। রাজস্থান হলো ৬ষ্ঠ রাজ্য,যারা এই সংস্কার সম্পূর্ণ করে অতিরিক্ত ২,৭৩১ কোটি টাকা খোলা বাজার থেকে ঋণ পাওয়ার অধিকারী হলো। গত ২৪ শে ডিসেম্বর অর্থ মন্ত্রক এই সংক্রান্ত অনুমোদনের কথা ঘোষণা করে। এর আগে ৫টি রাজ্য, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং তেলেঙ্গানা এই সংক্রান্ত সংস্কার করে। রাজস্থান হলো এই তালিকার নতুন সংযোজন। সহজে ব্যবসার নির্ধারিত সংস্কার করার দরুন এই ৬টি রাজ্য খোলা বাজার থেকে অতিরিক্ত ১৯,৪৫৯ কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার অনুমোদন পেল।
দেশে বিনিয়োগ বান্ধব ব্যবসার পরিবেশ গড়ে তুলতে, সহজে ব্যবসা করার পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সূচক। ভবিষ্যতে রাজ্যের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এর দ্বারা দ্রুত ত্বরান্বিত হবে।
কেন্দ্রীয় সরকার গত মে মাসে এই সিদ্ধান্ত নেয়।নির্ধারিত মান গুলি হলো:
১) জেলাস্তরে ব্যবসা সংস্কারের কার্যকরী পরিকল্পনা নির্ধারণের প্রথম ধাপের কর্মসূচীর কাজ শেষ করা।
২) ব্যবসা ক্ষেত্রে নির্ধারিত নিবন্ধীকরণ শংসাপত্রের, অনুমতিপত্রের বা লাইসেন্সের পুনর্নবীকরণ প্রথা বাতিল করা।
৩) কম্পিউটারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ভাবে ঘনঘন পরিদর্শন ব্যবস্থা স্থাপন করা। একই পরিদর্শককে একই ক্ষেত্রে পরপর বছরের জন্য পরিদর্শনের দায়িত্ব দেওয়া যাবেনা। পরিদর্শনের
আগে ব্যবসায়ীদের নোটিশ দিতে হবে এবং পরিদর্শনের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পরিদর্শন রিপোর্ট আপলোড করতে হবে।
দেশজুড়ে কোভিড পরিস্থিতির দরুন উদ্ভুত অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলায়, কেন্দ্রীয় সরকার গত মে মাসের ১৭ তারিখে রাজ্যগুলিকে তাদের জিএসডিপির ওপর অতিরিক্ত ২% ঋণ নেওয়ার মাত্রা বৃদ্ধি করার অনুমতি দেয়। এর অর্ধেক নাগরিক পরিষেবা সংক্রান্ত সংস্কারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে। যার মধ্যে রয়েছে
১) এক দেশ, এক রেশন কার্ড
২)সহজে ব্যবসা করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার।
৩) পুরসভার মতন আঞ্চলিক সংস্থাগুলির সংস্কার।
৪) বিদ্যুৎ এবং শক্তি ক্ষেত্রগুলির সংস্কার।
ইতিমধ্যেই ১০টি রাজ্য এক দেশ, এক রেশন কার্ড ব্যবস্থাপনা চালু করেছে। ৫টি রাজ্য সহজে ব্যবসার করার পদ্ধতি সংস্কার এবং ২টি রাজ্য আঞ্চলিক সংস্থার সংস্কার করেছে। যে সমস্ত রাজ্য নির্ধারিত সংস্কার করেছে, তাদের অতিরিক্ত মোট ৫০,২৫৩ কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।