হতে পারে রেশন ব্যবস্থা স্তব্ধ

কুইন্টাল প্রতি কমিশন বৃদ্ধি এবং সুনিশ্চিত মাসহারার দাবিতে আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে অল বেঙ্গল রেশন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ। তাদের সাথে হাত মিলিয়েছেন ; ওয়েস্টবেঙ্গল এম আর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন, কলকাতা এন্ড আরবান ফেয়ার প্রাইস সপ ওনার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন , বেঙ্গল ফেয়ার প্রাইস সপ ডিলার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ,
ওয়েস্টবেঙ্গল এম আর ডিলারস জাতীয়তাবাদী সংগঠন ।
মঞ্চের তরফ থেকে যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক নিখিলেশ ঘোষ বলেন, “খাদ্য দপ্তর স্বচ্ছ গণবণ্টন ব্যবস্থার চাইছে, কিন্তু তার প্রয়োজনীয় কাঠামো নেই। ১০০% ডিজিটাল রেশন ব্যবস্থা শুধু চাইলেই হবে না তার পরিকাঠামোর দরকার হবে। অন্যান্য রাজ্য যেমন মহারাষ্ট্র , গোয়া , দিল্লি, কেরল, ঝাড়খন্ড বিভিন্ন জায়গায় কুইন্টাল প্রতি সঠিক কমিশন দিচ্ছে। ন্যাশনাল ফুড সিকিউরিটি অ্যাক্ট এ ন্যূনতম ৮৭ টাকা কমিশন ধার্য করা হলেও আমাদের দেওয়া হচ্ছে মাত্র ৭০ টাকা। এছাড়া ফ্রি রেশন পরিষেবা আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে । গত ১৯ জানুয়ারি খাদ্য দপ্তরের সামনে জমায়াতের মাধ্যমে এই যৌথ মঞ্চ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে রেশন সরবরাহ বন্ধ রাখার। অর্থাৎ হোলসেলার এর কাছ থেকে খাদ্যপণ্য সংগ্রহ করা হবে না, এর ফলে করোনা আবহের অব্যাহতির পরে ফ্রী রেশনিং ব্যবস্থার জন্য সাধারণ মানুষে অনেকটাই অসুবিধার সম্মুখীন হবেন ,তবুও এছাড়া আমাদের কাছে আর কোন উপায় ছিল না “।
এই সরবরাহ বন্ধের ফলে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১৮ হাজার রেশন দোকান প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ১৯ জানুয়ারি চিঠি মারফত প্রশাসনের সর্বস্তরে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয় যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে।
কুইন্টাল প্রতি ৪৫৭/ ৯০০ টাকা কমিশন এর ব্যবস্থা করা, ২০১৯ ডিসেম্বর থেকে প্রাপ্য কমিশন মিটিয়ে দেওয়া, প্রতিবছরই পঞ্চম সপ্তাহ গুলি ছুটি মঞ্জুর করা সহ কুড়িটি দাবি পেশ করেন তারা।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তরুণ মুখার্জি, প্রবীর দে, রতন সাউ, নিশীথ রঞ্জন চক্রবর্তী প্রমুখ।