সীমান্তে ৪৩১৫.৯২ গ্রাম সোনার সাথে এক মহিলাকে আটক করেছে

গত ২৮ জানুয়ারী ২০২১, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী একজন ভারতীয় মহিলা পাচারকারীকে ৪৩১৫.৯২ গ্রাম সোনার সাথে আটক করে। জানা যায়, ওই মহিলা সোনার সাথে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ১৫৮ বাহিনী সীমান্ত চৌকি আংরাইল অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতের দিকে আসার চেষ্টা করছিল।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সীমা চৌকি আঙ্গরাইলের বন অঞ্চলে ১৫৮ বাহিনীর সীমা চৌকি আঙ্গরাইলের জওয়ানরা একটি তল্লাশি অভিযান চালায়। তল্লাশি অভিযানের সময় জওয়ানরা এক সন্দেহভাজন মহিলাকে বাবনপালি গ্রাম থেকে বন-পথ ধরে আঙ্গরাইল বাজারের দিকে যেতে দেখল। যখনই মহিলাটি গোপাল বনগাঁ রোড পেরোনোর চেষ্টা করতে যাচ্ছে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তার পর পাশের একটি বাড়িতে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর মহিলা জওয়ান দ্বারা ওই মহিলার তল্লাশি করেছিলেন।তল্লাশির পরে, মহিলার কাছ থেকে ৩৭টি সোনার বিস্কুট পাওয়া গেছে, যার ওজন ৪৩১৫.৯২ গ্রাম ছিল। তাকে সঙ্গে সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী গ্রেপ্তার করে । গ্রেপ্তার হওয়া মহিলার নাম আরতি মণ্ডল( ৫২ বছর)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সে সোনা পাচার করে বলে জানিয়েছে । সে বলেছে যে, এই সোনা বাংলাদেশের মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন বিশ্বাস, পলাশ মণ্ডলকে ইছামতি নদীর তীরে দিয়েছিল এই সোনা দিয়েছিল । তারপরে পলাশ মণ্ডল এই মহিলাকে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর ডিউটি লাইন অতিক্রম করার জন্য তা দিয়েছিল। কিন্তু মহিলাটি বনের পথ দিয়ে আসার সময় জওয়ানদের নজরদারি থেকে বাঁচতে পারেনি এবং সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী তাকে ধরে ফেলে। মহিলাটি বলেছে যে সে এর আগেও দু’বার এই কাজ করেছে। মহিলাটি বলেছে যে কিছু ভারতীয় পাচারকারী এই পাচারের সাথে জড়িতআছে । ১) গৌতম মণ্ডল, ২) রেনুবদা সন্ত্রা, স্ত্রী , ৩) তাপস ঘোষ, ৪) সুমন ঘোষ, পিতা সুকুমার ঘোষ, গ্রাম আঙ্গারেল, এদের সকলেরও এই চোরাচালানের সঙ্গে হাত রয়েছে। মহিলাটি বলেছে যে এই কাজের জন্য তিনি প্রতি বান্ডিল (১০ টুকরা)জন্য ৩০০ টাকা পেয়েছে। তবে সে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে গেছে ।
আটক মহিলাকে এবং সোনা কলকাতায় রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তরের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।