গত একমাসে দৈনিক মৃত্যুর হার ৫৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে

ভারতে কোভিড সংক্রমিতের হার ক্রমশ নিম্নমুখী। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৯ হাজার ১১০ জন সংক্রমিত হয়েছেন। আরোগ্য লাভের হার ক্রমশ বাড়তে থাকায় সংক্রমিত চিকিৎসাধীনের সংখ্যা নিয়মিতভাবে হ্রাস পাচ্ছে- আজকের হিসেবে সংক্রমিত চিকিৎসাধীন ১,৪৩,৬২৫ জন। দেশে মোট সংক্রমিতের মাত্র ১.৩২ শতাংশ চিকিৎসাধীন।
এ পর্যন্ত ১ কোটি ৫ লক্ষ ৪৮ হাজার ৫২১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে কোভিডমুক্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ১৬ জন। আরোগ্য লাভ করা রোগী এবং সংক্রমিত চিকিৎসাধীনের মধ্যে আজকের দিনের হিসেবে ব্যবধান ১,০৪,০৪,৮৯৬ জন। ভারতে কোভিড মুক্তির হার ৯৭.২৫ শতাংশ যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইটালী, রাশিয়া, ব্রাজিল ও জার্মানীর আরোগ্য লাভের হার ভারতের থেকে কম।
ভারতে সংক্রমিতদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যাও হ্রাস পাচ্ছে। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে একদিনে ২১১ জন মারা গিয়েছিলেন। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে একদিনে মারা গেছেন ৯৬- ৫৫ শতাংশ কম। ভারতে কোভিডের কারণে মৃত্যুর হার ১.৪৩ শতাংশ- যা বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন। সারা বিশ্বে ২.১৮ শতাংশ কোভিড সংক্রমিত মারা গেছেন।
৯ই ফেব্রুয়ারির সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশজুড়ে কোভিড টিকাকরণ কর্মসূচিতে উপকৃত হয়েছেন ৬২,৫৯,০০৮ জন। এদের মধ্যে ৫,৪৮২,১০২ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও ৭,৭৬,৯০৬ জন সামনের সারির কর্মী।
টিকাকরণের ২৪তম দিনে ৪,৪৬,৬৬৪ জন টিকা পেয়েছেন।
সারা দেশের মধ্যে ৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নতুন করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮১.২ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় কেরালায় ৫৯৫৯ জন, মহারাষ্ট্রে ৩৪২৩ জন ও বিহারে ৫৫০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
নতুন করে ৯১১০ জন সংক্রমিত হয়েছেন- এদের মধ্যে ৮১.৩৯ শতাংশ বাস করেন ৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। কেরালায় নতুন করে ৩৭৮২ জন, মহারাষ্ট্রে ২২১৬ জন ও তামিলনাড়ুতে ৪৬৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় ৭৮ জন সংক্রমিত মারা গেছেন। গত ৪ দিন ধরে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ১০০র কম। মৃতদের মধ্যে ৬৪.১ শতাংশ ৫টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে থাকেন। কেরালায় ১৬ জন, মহারাষ্ট্রের ১৫ জন ও পাঞ্চাবে ১১ জন নতুন করে মারা গেছেন।