ঝারগ্রামের উপর নজর

আগামী ২৭ শে মার্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার শুরু। নির্বাচন কমিশন আগেই প্রত্যেকটি বুথকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করেছে।
সূত্র অনুসারে, প্রতিটি বুথেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
নির্বাচন কমিশন মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করছে। মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা অর্থাৎ ঝাড়গ্রামে এবারে নির্বাচনে মোট পোলিং স্টেশনের সংখ্যা ১৩০৭। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন তথ্য অনুসারে বিগত নির্বাচনের সময় কিছু জেলা মাওবাদী অধ্যুষিত অঞ্চল বলে উল্লেখ থাকলেও এবছরের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সরকার শুধুমাত্র ঝাড়গ্রামকে মাওবাদী অধ্যুষিত অঞ্চল বলে ঘোষণা করেছে।
সেই মাওবাদী অধ্যুষিত অঞ্চলে বুথ প্রতি ১ সেকশন অর্থাৎ ৮ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মাওবাদী অধ্যুষিত অঞ্চল ছাড়া বাদবাকি যেখানে নির্বাচন হবে সেখানে যদি একটি বুথ থাকে তাহলে সেখানে হাফ সেকশন অর্থাৎ ৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী, একই জায়গায় যদি ২ থেকে ৪ টি বুথ থাকে সেখানে এক সেকশন বা ৮জন কেন্দ্রীয় বাহিনী। ৫ থেকে ৮ টি যেখানে রয়েছে সেখানে থাকবে এক থেকে দেড় সেকশন অর্থাৎ ১২ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী, ৯ এর বেশি বুথ যেখানে দুই সেকশন বা ১৬ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়া বুথের ভোটারদের লাইন ঠিকঠাক করার জন্য রাজ্য পুলিশের একজন কনস্টেবল অথবা হোম গার্ড থাকবে।
নির্বাচন কমিশন আগেই নির্দেশ দিয়েছিল সিভিক ভলেন্টিয়ার, গ্রীন পুলিশকে কোনভাবেই নির্বাচনের কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবেনা।
সূত্র অনুযায়ী, বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে রাজ্য পুলিশ থাকছে না, তবে সেক্টর অফিসের জন্য থাকবে রাজ্য পুলিশ বাহিনী। মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকার জন্য সব কটি সেক্টর অফিসের জন্য থাকবে ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
অন্যদিকে কিউ আর টি অর্থাৎ কুইক রেসপন্স টিমের এক সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাথে থাকবে রাজ্য পুলিশ বাহিনীর একজন এএসআই অথবা এসআই পদমর্যাদার পুলিশ।
নির্বাচন কমিশনের স্পষ্ট বার্তা বিগত দিনের রাজ্যে নির্বাচনে রাজ্যের বিভিন্ন হিংসাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল সেগুলির যাতে কোনোভাবেই পুনরাবৃত্তি না হয়। এটা কার জন্য নির্বাচন কমিশন সমস্ত করনীয় করবে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।